জাতীয় চিড়িয়াখানা- মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ

জাতীয় চিড়িয়াখানা- মিরপুর, ঢাকা, বাংলাদেশ

 

জাতীয় চিড়িয়াখানা

জাতীয় চিড়িয়াখানা- মিরপুর, ঢাকা বাংলাদেশের জনপ্রিয় চিড়িয়াখানা। মিরপুর চিড়িয়াখানা বাংলাদেশের সর্ব বৃহৎ চিড়িয়াখানা। এটি এদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানা হিসেবে পরিচিত।  জীবজন্তুর প্রদর্শনশালা হিসাবে এটি ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় হাইকোর্ট চত্বরে। এবং ঢাকা চিড়িয়াখানা নামে যাত্রা শুরু করে ১৯৬৪ সালে। ১৯৭৪ সালে এটির জায়গা স্বল্পতার জন্য বর্তমান জায়গায় স্থানান্তর করা হয়। ২১৩.৪১ একর জমির উপর মিরপুর চিড়িয়াখানা অবস্থিত রয়েছে। মিরপুর চিড়িয়াখানাটি সরাসরি পরিচালিত হয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীনে। ২১৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ করছেন চিড়িয়াখানাটিতে বর্তমান সময়ে। সার্বিক কার্যক্রম তদারকি করেন কিউরেটরের অধীনে দুইজন ডেপুটি কিউরেটর। বৃহৎ প্রাণি তৃণভোজী শাখা, সরিসৃপ ও ক্ষুদ্র স্তন্যপায়ী, মাংসাশী শাখা, ভেনেটারি শাখা, প্রাণীপুষ্টি শাখা, প্রশাসন শাখা, মৎস্য শাখা, নিরাপত্তা শাখা, জাদুঘর শাখা, গবেষণা শাখা, তথ্য শাখা, পাখি শাখা রয়েছে ডেপুটি কিউরেটরের অধীনে। জাতীয় চিড়িয়াখানাতে একটি উপদেষ্টা কমিটি আছে প্রাণী ও মৎস্য সম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীকে প্রধান করে। 


মিরপুর চিড়িয়াখানায় অনেক দেশি-বিদেশি বন্যপ্রাণী এবং পশুপাখি রয়েছে বর্তমান সময়ে। এখানে ২১৫০ মেরুদন্ডী প্রাণী রয়েছে ১৯১ প্রজাতির। ১৫ টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার রয়েছে, ২১ টি সিংহ, ৩৩টি পাইথন, প্রায় ২০০ বানর ও ৯টি জলহস্তি আছে। এছাড়া রয়েছে ৬৪ প্রজাতির ৫৫১ স্তন্যপায়ী প্রাণী, ৩২ প্রজাতির ১০৪ একুউরিয়াম মাছ, আছে ১৫ প্রজাতির ৭৩ সরীসৃপ এবং ৯১ প্রজাতির ১৫০০ পাখি আছে। কালো ভল্লুক, গয়াল, এমু, জেব্রা ইত্যাদি বিরল প্রজাতের প্রাণী রয়েছে। জাতীয় চিড়ুিয়াখানার প্রাণী বৃদ্ধি ও রক্ষা করতে প্রজনন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে কর্তৃপক্ষ এবং প্রজননে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে। প্রাণী বিনিময়ের ব্যবস্থা রয়েছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের চিড়িয়াখানার সাথে। অসংখ্য জলজ পাখি ভিড় জমায় স্বচ্ছ পানির দুটি লেকে।


সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চিড়িয়াখানা খোলা থাকে বছরের অক্টোবর থেকে মার্চে রবিবার বাদে। চিড়িয়াখানা পরিদর্শন করতে প্রতি বছর প্রায় ৩ মিলিয়ন লোক আসে। চিড়িয়াখানার মনোরম প্রাকৃতিক দৃশ্য দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে। দর্শনার্থীরা যেন প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারে সে জন্য প্রবেশপথে তথ্যকেন্দ্র রয়েছে। এখানে প্রতিবন্ধী ও বয়স্কদের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা রয়েছে। দেশের সকল চিড়িয়াখানার কেন্দ্রীয় বন্য প্রাণীর প্রজনন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার প্রকৃয়া চলছে। ক্যাপটিভ ব্রিডিং প্রোগ্রাম চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে ব্রিডিং প্রোগ্রাম ও বিশেষজ্ঞ পরামর্শকর সহায়তায়। কনজার্ভেশন এডুকেশনের উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে সারা বিশ্বের চিড়িয়াখানা গুলোতে বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে।

Reactions

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ