বাংলাদেশের অন্যতম নৈসর্গিক -কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত

 
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত 

💖বাংলাদেশের অন্যতম নৈসর্গিক -কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত 

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত পটুয়াখালী জেলা ধীন মহিপুর উপজেলার লতাচাপলী থানার কুয়াকাটা ইউনিয়নে অবস্থিত । ঢাকা থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত এর দূরত্ব প্রায় সড়ক পথে ৩৮০ কিলোমিটার আর বরিশাল থেকে এর দূরত্ব প্রায় ১০৮ কিলোমিটার । আর এটি পটুয়াখালী সদর থেকে ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত । এটি বাংলাদেশের দক্ষিন-পশ্চিমাঞ্চলের নেসর্গিক সমুদ্র সৈকত । পর্যটকদের কাছে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত "সাগর কন্যা " নামে পরিচিত ।  এর আয়তন প্রায় ১৮ কিলোমিটার । এটি বাংলাদেশের একমাত্র সমুদ্র সৈকত যেখান থেকে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত উভয়ই দেখা যায় । সমুদ্র সৈকতে দাডিয়ে সূর্য উদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য গুলো অবলোকন করা সত্যিই দারুন ব্যপার । 


💖সাগর কণ্যা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের প্রকৃতিক সৌন্দর্য 

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের পূর্বে ও পশ্চিমে সুগবির বনাঞ্চল চারদিকে শুধু সবুজ আর সবুজ । উত্তরে কলাপাড়া জনপদ ,এবং এর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগর অবস্থিত । ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত যেন অপার সৌন্দর্যের নীলাভূমি । এখান থেকে সূর্যের স্বাগতম ক্ষন এবং অস্তিমত সূর্যের সৌন্দর্য ভালোবাবে অবোলোকন করা যায় । সৈকতের পাশেই রয়েছে বিশাল নারিকেল বাগান । যার আয়তন প্রায় দেড় শতাধিক । "নারকেল কুঞ্জ" নামেই পরিচিত এই বাগানটি । তাছাড়াও এখানে রয়েছে  মনোরম ঝাউ বাগান । সৈকতের পূর্বে ও পশ্চিমের বনাঞ্চলে রয়েছে বিভিন্ন রকমের গাছ । যেমন ছৈলা,কেওড়া ও কড়াই । এই সুবিশাল বনাঞ্চলের পাশ  দিয়ে বয়ে গেছে নয়নাভিরাম লেক । কুয়াকাটা সমুদ্র থেকে ৫ কিলোমিটার পশ্চমে লেবুচর । লেবুর চরে ও রয়েছে একটি বিশাল বাগান । বেড়াতে আসা পর্যটকরা  এখানে যায় ।  আন্ধারমানিক নদীর মোহনা থেকে পূর্ব দিকে হলো লেবুর চর আর পশ্চিম দিকে হলো সুবিশাল ফাতরার চরের বিশাল বনাঞ্চল । এত বনাঞ্চল এর কারণে কুয়াকাটা  সমূদ্র সৈকতকে ২ য় সুন্দরবন বলা হয়। তাছাড়াও সৈকত থেকে ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত শুটকি পল্লী । এখানে অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী শীত কালে বিভিন্ন মাছ শুকিয়ে শুটকি তৈরি করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করে । এখানে পর্যটকরা কিভাবে তাজা মাছ কেটে শুঁটকি করা হয় তা দেখতে ভিড় জমায় । সৈকতের তীরে আচঁড়ে পড়া সমুদ্রের বড় বড় ঢেউ এর গর্জন পর্যটকদের বেশি আকর্ষন করে । তবে সমুদ্রের গর্জনের শব্দ দিনের বেলা থেকে রাতে বেশি শুনা যায় । কেননা রাতে চারদিক নিরব থাকে । এখানে পর্যটকরা আসলে ইচ্ছে করলে রাতে, সমুদ্রের ভায়াবহ গর্জন শুনার জন্য সৈকতে ভ্রমন করতে পারে । কেননা নিরাপত্তা জনিত কোন ভয় নেই সেখানে ।  রাতে সমুদ্রের গর্জন সত্যিই ভয়ংকর  । সৈকতের কাছাকাছি হোটেল গুলো থেকে সমুদ্রের গর্জন ভালো ভাবে শুনা যায় । তাছাড়াও পর্যটকদের সৈকত পরিদর্শন করার জন্য রয়েছে ঘুড়া ও ভাড়ায় চলিত মোটর সাইকেল। ভাড়া বেশি নয় । দূরত্ব বা সীমানা  অনুযায়ী ভাড়া দিতে হবে । পর্যটকদের ভ্রণের জন্য রয়েছে সমুদ্র ভ্রমন কারী জাহাজ ও ট্রলার ও স্পিড বোট । এসব জাহাজ বা ট্রলারে ছড়ে পর্যটকরা আশেপাশের সৌন্দর্য মন্ডিত বনাঞ্চল গুলো দেখতে পারবে । এসব  জলযান করে সমুদ্রের গভীরে যাওয়া যায় । গভীরে সমুদ্রে বিচরণ যে কোন পর্যটকদের আত্নতৃপ্তি দেবে। সমুদ্র ভ্রমন কারী জাহাজ গুলোতে থাকা খাওয়ার সু-ব্যবস্থা রয়েছে । 


💖কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের দর্শনীয় স্থান গুলো 👇

  • কুয়াকাটা বোদ্ধ মন্দির 
  • এতিহ্যবাহী শতবর্ষী নৌকা
  • কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান 
  • লেবুর চর 
  • কুয়াকাটার কুয়া 
  • কাউয়ার চর 
  • চর গঙ্গামতি 
  • রূপালী দ্বীপ 
  • লাল কাঁকড়ার চর 
  • ঝাউ বন 
  • বৌদ্ধ বিহার 
  • বার্মিজ মার্কেট 
  • রাখাইন পল্লী 
  • মিষ্টি পানির কূ্প 
  • শুটকি পল্লী 
  • তিন নদীর মোহনা 
  • ঝিনুক বীচ 


Reactions

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ