বাচ্য কাকে বলে। কত প্রকার ও কি কি ?

বাচ্য কাকে বলে। কত প্রকার ও কি কি ?

 

বাচ্য:- ক্রিয়ার বিভিন্ন রূপভেদের জন্য বাক্যের বিভিন্ন ধরনের প্রকাশ ভঙ্গিকে বাচ্য বলে।

বাচ্য তিন প্রকার। যথা:-

১. কর্তৃবাচ্য

২. কর্মবাচ্য

৩. ভাববাচ্য

কর্তৃবাচ্য:- যে বাক্যে কর্তার অর্থ - প্রাধান্য রক্ষিত হয় এবং ক্রিয়া পদ কর্তার অনুসারী হয় তাকে কর্তৃবাচ্য বলে। যেমন - রাশেদ ভাত খায়।

কর্তৃবাচ্য কর্তায় প্রথমা বা শূন্য বিভক্তি এবং কর্মে দ্বিতীয়া, ষষ্ঠী বা শূন্য বিভক্তি হয়। 

যেমন -  শিক্ষক ছাত্রদের পড়ান।

              রোগী  পথ্য সেবন করে।


কর্মবাচ্য:- যে বাক্যে কর্মের সাথে ক্রিয়ার সম্বন্ধ প্রধান ভাবে প্রকাশিত হয় তাকে কর্মবাচ্য বলে।

যেমন - রাশেদ কর্তৃক ভাত খাওয়া হয়।

কর্মবাচ্যে কর্মে প্রথমা, কর্তায় তৃতীয়া বিভক্তি ও দ্বারা, দিয়া (দিয়ে), কর্তৃক অনুসর্গের ব্যবহার হয় এবং ক্রিয়াপদ কর্মের অনুসারী হয়। 

যেমন - আলেকজান্ডার কর্তৃক পারস্য দেশ বিজিত হয়।

              চোরটা ধরা পড়েছে।

কখনো কখনো কর্মে দ্বিতীয়া বিভক্তি হতে পারে।

যেমন - আসামীকে জরিমানা করা হয়েছে।


ভাববাচ্য:- যে বাচ্যে কর্ম থাকে না এবং বাক্যে ক্রিয়ার অর্থই বিশেষ ভাবে ব্যক্ত হয়ে থাকে তাহাকে ভাববাচ্য বলে। 

যেমন - আমাকে যেতে হবে

ভাববাচ্যের কর্তায় ষষ্ঠী, দ্বিতীয়া অথবা তৃতীয়া বিভক্তি প্রযুক্ত হয়।

যেমন - আমার (কর্তায় ষষ্ঠী) খাওয়া হল না।

              আমাকে (কর্তায় দ্বিতীয়া) এখন যেতে হবে।

               তোমার দ্বারা (কর্তায় তৃতীয়া) এ কাজ হবে না।

মূল ক্রিয়ার সাথে সহযোগী ক্রিয়ার সংযোগ ও বিভিন্ন অর্থে ভাব বাচ্যের হয়।

যেমন - এ ব্যাপারে আমাকে দায়ী করা চলে না।

              এ রাস্তা আমার চিনা নেই।

কখনো কখনো ভাব বাচ্যে কর্তা উহ্য থাকে, কর্মের দ্বারাই ভাববাচ্য গঠিত হয়।

যেমন - এবার গাড়িতে ওঠা যাক।

             এ পথে চলা যায় না।

              কোথা থেকে আসা হচ্ছে ?


Reactions

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ